রমজানেই চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার
চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘতম ৫.২ কিলোমিটার আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার ঈদের আগেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য ঈদ উপহার হিসেবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই ফ্লাইওভার চালু করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম।
ঈদের আগমুহূর্তে নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নগরবাসীর সুবিধার জন্য অন্তত ১৫ রমজানের মধ্যে ফ্লাইওভারটি চালু করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। আগামী সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হলেও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীকে এনে ফ্লাইওভারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার ঈদের আগে মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার কিংবা লালখান বাজার থেকে মুরাদপুরের গাড়িগুলো ফ্লাইওভারে তুলে দেওয়া হলে ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় এবং ওয়াসা মোড়ের যানজট অনেকটা কমে আসবে বলে সিডিএ চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এদিকে, নগরীর প্রধান সড়কে নির্মাণাধীন এই ফ্লাইওভারের কারণে নগরবাসীকে যানজটসহ নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতের বেলা ঐ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফলে রাতভর ট্রাক, বাস, কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের হাজার হাজার যানবাহন বিভিন্ন আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। এতে আবাসিক এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার প্রকল্প, যা মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভার নামে পরিচিত, একনেকে অনুমোদিত হয় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর। ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র্যাঙ্কিন (জেভি)’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের মার্চে। ফ্লাইওভারটি নির্মাণ ব্যয় ৬৯৬ কোটি টাকা।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই